১৩ বছরের বি.আর.টি দুর্ভোগের অবসান চাই
নিজস্ব প্রতিবেদক : নাগরিকদের নিরাপদ সড়ক পারাপারের অধিকার নিশ্চিত ও দীর্ঘদিনের বি.আর.টি প্রকল্পের ভোগান্তি থেকে মুক্তির দাবিতে টঙ্গীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (৬ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে টঙ্গী সরকারি কলেজ সংলগ্ন ঢাকা–ময়মনসিংহ মহাসড়কে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। গাজীপুরের সর্বস্তরের নাগরিকদের ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধনে ছোট ছোট প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল টঙ্গীবাসীর বিষফোঁড়া বি.আর.টি প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে, ঝুঁকিপূর্ণ ক্রসিংগুলোতে স্পিড ব্রেকার নির্মাণ, ওভারব্রিজে বৃদ্ধ ও প্রতিবন্ধীদের জন্য এস্কেলেটর দাও, এবং ১৩ বছরের দুঃখের অবসান চাই। বক্তারা বলেন, নিরাপদ সড়ক পারাপার নাগরিকের মৌলিক অধিকার। ১৩ বছর ধরে বি.আর.টি প্রকল্প উন্নয়নের নামে টঙ্গীবাসী সীমাহীন দুর্ভোগে রয়েছে। অবিলম্বে এ প্রকল্পের কাজ শেষ করে চলাচলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। এসময় নাগরিকদের নয় দফা দাবি উল্লেখ করেন
⃣ ওভারব্রিজ দ্রুত চালু করে নিরাপদ রাস্তা পারাপারের ব্যবস্থা করতে হবে।
⃣ বৃদ্ধ, প্রতিবন্ধী ও শিশুদের জন্য এস্কেলেটর ও লিফট চালু রাখতে হবে।
⃣ স্কুল ও কলেজের সামনে জেব্রা ক্রসিং স্থাপন ও ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েন করতে হবে।
⃣ টঙ্গী ব্রিজ সংস্কার করে সাধারণ যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করতে হবে।
⃣ ফ্লাইওভারের উপর ও নিচে সিসিটিভি ক্যামেরা ও পুলিশ মোতায়েন করে ছিনতাই রোধ করতে হবে।
⃣ ফ্লাইওভারে ভারী ট্রাক ওঠা বন্ধ ও রাত ১২টার পর ট্রাক চলাচল সীমিত রাখতে হবে।
⃣ নির্দিষ্ট বাস স্টপ ও ওয়েটিং লাইন তৈরি করে ট্রাফিক জ্যাম কমাতে হবে।
⃣ অরক্ষিত ম্যানহোল ঢেকে ফুটপাত ও রাস্তা নিরাপদ রাখতে হবে।
⃣ জলাবদ্ধতা প্রতিরোধে স্থায়ী নিষ্কাশন ব্যবস্থা নিতে হবে।
বক্তারা আরও বলেন, ওভারব্রিজের অতিরিক্ত উচ্চতা বৃদ্ধ ও প্রতিবন্ধীদের জন্য বড় প্রতিবন্ধক হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই অবিলম্বে এস্কেলেটর বা লিফট স্থাপন করা সময়ের দাবি। তারা অভিযোগ করেন,বি.আর.টি প্রকল্পের নামে টঙ্গীর মানুষকে ১৩ বছর ধরে দুর্ভোগে রাখা হয়েছে। রাস্তাঘাট, ফুটপাত, পারাপার সবই এখন ঝুঁকিপূর্ণ। প্রশাসনকে এখনই কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।
মানববন্ধনে অংশ নেন স্থানীয় নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী ও পথচারীরা। সবশেষে বক্তারা সরকারের প্রতি আহ্বান জানান, টঙ্গীবাসীর সহনশীলতার সীমা শেষ। আমরা এখন বাস্তব পরিবর্তন দেখতে চাই।