নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গার ডিঙ্গেদহে বিষাক্ত মদ পানে ৭ জনের মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার অন্যতম আসামী মোঃ ফারুক আহমেদ ওরফে ‘এ্যালকো ফারুক’ (৪০)–কে গ্রেফতার করেছে চুয়াডাঙ্গা পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল (সিসিআইসি)। বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর ২০২৫) দুপুরে ঝিনাইদহ জেলার রাঙ্গিয়ারপোতা এলাকায় নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের সময় তার হেফাজত থেকে ১১৭ বোতল মেয়াদোত্তীর্ণ এ্যালকোহল/স্পিরিট উদ্ধার করে পুলিশ। চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অবৈধভাবে মেয়াদোত্তীর্ণ এ্যালকোহল/স্পিরিট দখলে রাখার অপরাধে গ্রেফতারকৃত ফারুকের বিরুদ্ধে ঝিনাইদহ সদর থানায় নতুন একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ফারুক আহমেদ স্বীকার করেছে যে, সে দীর্ঘদিন ধরে লাইসেন্সবিহীনভাবে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার আড়ালে মেয়াদোত্তীর্ণ স্পিরিট বিক্রি করে আসছে। এসব বিষাক্ত পদার্থ চুয়াডাঙ্গা ও আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় হোমিও দোকান এবং মাদকসেবীদের কাছে সরবরাহ করত সে। তদন্তকারীরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন, ফারুক আহমেদের সরবরাহকৃত ওই মেয়াদোত্তীর্ণ স্পিরিটই ডিঙ্গেদহের ৭ জনের মৃত্যুর মূল কারণ। এর আগে, একই মামলায় আরেক আসামী খেজুরার জুমাত আলীকে গ্রেফতার দেখিয়েছে পুলিশ। চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই ঘটনার সাথে জড়িত সকল আসামীকে আইনের আওতায় আনা হবে এবং বিষাক্ত মদ সরবরাহের পুরো চক্রকে চিহ্নিত করতে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।