নিজস্ব প্রতিবেদক : ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য রাখা এক মৃত তরুণীকে ধর্ষণের ঘটনায় লাশবাহক (হেলপার)কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পরবর্তীতে তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, হালুয়াঘাট উপজেলার ঘোষবেড় এলাকার ২০ বছর বয়সী এক তরুণী গত শনিবার (১৯ অক্টোবর) রাতে নিজ বাড়িতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন বলে পরিবার জানায়। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। পরদিন (২০ অক্টোবর) সকালে হাসপাতালের ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক মরদেহে সন্দেহজনক আলামত দেখতে পেয়ে বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানান। পরবর্তীতে নমুনা পরীক্ষায় তরুণীর যৌনাঙ্গে তাজা বীর্য পাওয়া যায়। ঘটনার পর সন্দেহভাজন হিসেবে মর্গের লাশবাহক আবু সাঈদ (১৯) কে আটক করে পুলিশ। তিনি হালুয়াঘাট উপজেলার খন্দকপাড়া এলাকার বাসিন্দা। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মৃত তরুণীকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেন।হালুয়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মহিদুল ইসলাম বলেন, মরদেহ ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও লাশ অবমাননার ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আদালতে তিনি স্বীকারোক্তি দিয়েছেন এবং কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এদিকে, মর্গে এ ধরনের জঘন্য ঘটনা ঘটায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। বিষয়টি নিয়ে অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন। স্থানীয়রা বলছেন, এ ঘটনা সমাজে এক গভীর মানবিক ও নৈতিক সংকটের প্রতিফলন। হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও দায়িত্বশীলতার প্রশ্নে এটি একটি দৃষ্টান্তমূলক সতর্কবার্তা হয়ে থাকবে।