নিজস্ব প্রতিবেদক : দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এর এনফোর্সমেন্ট ইউনিট হতে আজ (০৫ নভেম্বর ২০২৫) সারাদেশে তিনটি পৃথক অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। প্রথম অভিযানটি পরিচালিত হয় কুমিল্লায় শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর, জেলা কার্যালয়ে বেসরকারি রাজস্ব বাজেটের আওতায় মেরামত ও সংস্কার খাতে অনিয়মের অভিযোগে। অভিযোগে বলা হয়, কোনো কাজ সম্পন্ন না করেই বিল উত্তোলন করা হয়েছে। অভিযানকালে নিরপেক্ষ প্রকৌশলী দলের উপস্থিতিতে তিতাস উপজেলার দুধঘাটা নূরে মোহাম্মদী (সঃ) মাদ্রাসার বাউন্ডারি ওয়াল ও গেট নির্মাণ প্রকল্প সরেজমিনে পরিদর্শন করা হয়। টিমের পর্যবেক্ষণে প্রতীয়মান হয়, বাস্তবে কাজ সম্পন্ন না করেই অর্থ উত্তোলন করা হয়েছে। টিম প্রাসঙ্গিক নথিপত্র সংগ্রহ করে কমিশনের কাছে বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিলের প্রস্তুতি নিচ্ছে। দ্বিতীয় অভিযানটি পরিচালিত হয় রাঙ্গামাটির বরকল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং ভূষণছড়া ও কলাবুনিয়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাসেবা প্রদানে অনিয়ম ও হয়রানির অভিযোগে। অভিযানকালে দেখা যায়, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা দায়িত্বস্থলে অনুপস্থিত, প্রশাসনিক পরিবেশ অগোছালো এবং সেবা কার্যক্রমে অচলাবস্থা বিরাজ করছে। এছাড়া কলাবুনিয়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি সম্পূর্ণ বন্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক ও অন্যান্য কর্মচারীদের কেউই উপস্থিত ছিলেন না। জেলা সিভিল সার্জনও অনুপস্থিত কর্মকর্তাদের বিষয়ে কোনো তথ্য দিতে পারেননি। দুদক টিম প্রাপ্ত প্রমাণাদি ও অনিয়মের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থার সুপারিশ করবে। তৃতীয় অভিযানটি পরিচালিত হয় ঝিনাইদহ পৌরসভায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন একটি প্রকল্পে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগে। তদন্তে জানা যায়, প্রকল্পটির টেন্ডার প্রক্রিয়া এখনও চলমান এবং কোনো প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ প্রদান করা হয়নি। তবে টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে টেন্ডার-সংক্রান্ত নথিপত্র ও প্রাসঙ্গিক রেকর্ড সংগ্রহ করেছে। সংগৃহীত তথ্য বিশ্লেষণ করে টিম কমিশনের কাছে বিস্তারিত প্রতিবেদন জমা দেবে। দুদকের এই ধারাবাহিক অভিযান দুর্নীতি প্রতিরোধ ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় কমিশনের অঙ্গীকারের বহিঃপ্রকাশ বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।